কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা
জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুর গ্রামে ১৬৫৭ সালে নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদটি এখনও অনেকটাই আগের মতো রয়েছে। পৌনে চারশ’ বছরেও এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়নি। চুন সুরকির এ মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন মানুষ। অনেকেই এখানে এসে নামাজ পড়েন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫ দশমিক ৯৪ মিটার। মসজিদের উপরে তিনটি গম্ভুজ রয়েছে। গম্ভুজে পদ্মফুলের নকশা রয়েছে। মসজিদের সামনের দেয়ালে ফার্সি ভাষায় শিলালিপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে জনৈক হায়াতে আবদুল করিম মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। হায়াতে আবদুল করিমের পরিচয় নিয়ে দুইটি মত রয়েছে, একটি হচ্ছে তিনি নাটেশ্বর নামে এক রাজার কর্মকর্তা ছিলেন। আরেকটি মত, তিনি শাহ সৈয়দ বাগদাদী নামে একজন দরবেশের মুরিদ ছিলেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেন, বড় শরীফপুরের এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন। এই মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মসজিদের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।এটি জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মসজিদের একদিকে ডাকাতিয়া নদী, অন্যদিকে নরহ খাল। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ-হাসনাবাদ সড়ক। পেছনে রয়েছে বিশাল নাটেশ্বর দিঘি। একটু অদূরে মাজার শরীফ। এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS